১. রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ করা :
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তার প্রতি ১০টি রহমত অবতীর্ণ করবেন। তার ১০টি গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১২৯৭)
২. ভালোভাবে অজু করা :
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো মুসলিম অজু করে, তখন তার চেহারা ধোয়ার সময় পানির ফোঁটার সঙ্গে চোখের গুনাহগুলো ধুয়ে যায়; যখন হাত ধোয়া হয়, হাতের গুনাহগুলো ধুয়ে যায়; যখন পা ধোয়া হয় পানির ফোঁটার সঙ্গে পায়ের দ্বারা কৃত গুনাহগুলো ধুয়ে যায়। এভাবে বান্দা গুনাহ থেকে একেবারে পাক-সাফ হয়ে যায়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৪৪)
৩.নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়া :
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘জামাতের নামাজ ঘরের বা বাজারের নামাজ অপেক্ষা ২৫ গুণ বেশি সওয়াবের। কেননা বান্দা যখন উত্তমরূপে অজু করে এবং একমাত্র নামাজের উদ্দেশ্যেই ঘর থেকে বের হয় তো প্রতিটি কদমের বিনিময়ে আল্লাহ তার একটি করে মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং একটি করে গুনাহ মিটিয়ে দেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৪৭)
৪.রুকু থেকে উঠে ‘রব্বানা লাকাল হামদ’ বলা :
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ইমাম যখন রুকু থেকে উঠে বলে ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদা’ তখন তোমরা বলো, ‘আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল হামদ।’ কেননা যার তাহমিদ ফেরেশতাদের সঙ্গে মিলবে তার আগের সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৯৬)
৫. ফাতিহা শেষে আমিন বলা:
বুখারির বর্ণনায় এসেছে, নবী (সা.) বলেছেন, ‘নামাজে ইমাম সাহেব যখন সুরা ফাতিহা শেষ করে তখন তোমরাও আমিন বলো। কেননা তখন ফেরেশতারাও আমিন বলে। ইমামও আমিন বলে। আর যার আমিন বলা ফেরেশতাদের আমিন বলার সঙ্গে মিলবে, তার আগের সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৭১৮৭)
No comments:
Post a Comment